বাংলা - Surah নূহ | المكتبة الالكترونية لك ولفقيدك صدقة جارية عن المغفور لها بإذن الله جدتي قمره

,,

اللهم اجعل هذا العمل نافعاً لصاحبه يوم القيامة

ولمن ساهم وساعد بنشره

,,

Surah নূহ

বাংলা

Surah নূহ - Aya count 44
Facebook Twitter Google+ Pinterest Reddit StumbleUpon Linkedin Tumblr Google Bookmarks Email
سَأَلَ سَائِلٌ بِعَذَابٍ وَاقِعٍ ( 1 ) নূহ - Aya 1
একব্যক্তি চাইল, সেই আযাব সংঘটিত হোক যা অবধারিত-
لِّلْكَافِرِينَ لَيْسَ لَهُ دَافِعٌ ( 2 ) নূহ - Aya 2
কাফেরদের জন্যে, যার প্রতিরোধকারী কেউ নেই।
مِّنَ اللَّهِ ذِي الْمَعَارِجِ ( 3 ) নূহ - Aya 3
তা আসবে আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে, যিনি সমুন্নত মর্তবার অধিকারী।
تَعْرُجُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ إِلَيْهِ فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ ( 4 ) নূহ - Aya 4
ফেরেশতাগণ এবং রূহ আল্লাহ তা’আলার দিকে উর্ধ্বগামী হয় এমন একদিনে, যার পরিমাণ পঞ্চাশ হাজার বছর।
فَاصْبِرْ صَبْرًا جَمِيلًا ( 5 ) নূহ - Aya 5
অতএব, আপনি উত্তম সবর করুন।
إِنَّهُمْ يَرَوْنَهُ بَعِيدًا ( 6 ) নূহ - Aya 6
তারা এই আযাবকে সুদূরপরাহত মনে করে,
وَنَرَاهُ قَرِيبًا ( 7 ) নূহ - Aya 7
আর আমি একে আসন্ন দেখছি।
يَوْمَ تَكُونُ السَّمَاءُ كَالْمُهْلِ ( 8 ) নূহ - Aya 8
সেদিন আকাশ হবে গলিত তামার মত।
وَتَكُونُ الْجِبَالُ كَالْعِهْنِ ( 9 ) নূহ - Aya 9
এবং পর্বতসমূহ হবে রঙ্গীন পশমের মত,
وَلَا يَسْأَلُ حَمِيمٌ حَمِيمًا ( 10 ) নূহ - Aya 10
বন্ধু বন্ধুর খবর নিবে না।
يُبَصَّرُونَهُمْ ۚ يَوَدُّ الْمُجْرِمُ لَوْ يَفْتَدِي مِنْ عَذَابِ يَوْمِئِذٍ بِبَنِيهِ ( 11 ) নূহ - Aya 11
যদিও একে অপরকে দেখতে পাবে। সেদিন গোনাহগার ব্যক্তি পনস্বরূপ দিতে চাইবে তার সন্তান-সন্ততিকে,
وَصَاحِبَتِهِ وَأَخِيهِ ( 12 ) নূহ - Aya 12
তার স্ত্রীকে, তার ভ্রাতাকে,
وَفَصِيلَتِهِ الَّتِي تُؤْوِيهِ ( 13 ) নূহ - Aya 13
তার গোষ্ঠীকে, যারা তাকে আশ্রয় দিত।
وَمَن فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا ثُمَّ يُنجِيهِ ( 14 ) নূহ - Aya 14
এবং পৃথিবীর সবকিছুকে, অতঃপর নিজেকে রক্ষা করতে চাইবে।
كَلَّا ۖ إِنَّهَا لَظَىٰ ( 15 ) নূহ - Aya 15
কখনই নয়। নিশ্চয় এটা লেলিহান অগ্নি।
نَزَّاعَةً لِّلشَّوَىٰ ( 16 ) নূহ - Aya 16
যা চামড়া তুলে দিবে।
تَدْعُو مَنْ أَدْبَرَ وَتَوَلَّىٰ ( 17 ) নূহ - Aya 17
সে সেই ব্যক্তিকে ডাকবে যে সত্যের প্রতি পৃষ্ঠপ্রদর্শন করেছিল ও বিমুখ হয়েছিল।
وَجَمَعَ فَأَوْعَىٰ ( 18 ) নূহ - Aya 18
সম্পদ পুঞ্জীভূত করেছিল, অতঃপর আগলিয়ে রেখেছিল।
إِنَّ الْإِنسَانَ خُلِقَ هَلُوعًا ( 19 ) নূহ - Aya 19
মানুষ তো সৃজিত হয়েছে ভীরুরূপে।
إِذَا مَسَّهُ الشَّرُّ جَزُوعًا ( 20 ) নূহ - Aya 20
যখন তাকে অনিষ্ট স্পর্শ করে, তখন সে হা-হুতাশ করে।
وَإِذَا مَسَّهُ الْخَيْرُ مَنُوعًا ( 21 ) নূহ - Aya 21
আর যখন কল্যাণপ্রাপ্ত হয়, তখন কৃপণ হয়ে যায়।
إِلَّا الْمُصَلِّينَ ( 22 ) নূহ - Aya 22
তবে তারা স্বতন্ত্র, যারা নামায আদায় কারী।
الَّذِينَ هُمْ عَلَىٰ صَلَاتِهِمْ دَائِمُونَ ( 23 ) নূহ - Aya 23
যারা তাদের নামাযে সার্বক্ষণিক কায়েম থাকে।
وَالَّذِينَ فِي أَمْوَالِهِمْ حَقٌّ مَّعْلُومٌ ( 24 ) নূহ - Aya 24
এবং যাদের ধন-সম্পদে নির্ধারিত হক আছে
لِّلسَّائِلِ وَالْمَحْرُومِ ( 25 ) নূহ - Aya 25
যাঞ্ছাকারী ও বঞ্চিতের
وَالَّذِينَ يُصَدِّقُونَ بِيَوْمِ الدِّينِ ( 26 ) নূহ - Aya 26
এবং যারা প্রতিফল দিবসকে সত্য বলে বিশ্বাস করে।
وَالَّذِينَ هُم مِّنْ عَذَابِ رَبِّهِم مُّشْفِقُونَ ( 27 ) নূহ - Aya 27
এবং যারা তাদের পালনকর্তার শাস্তির সম্পর্কে ভীত-কম্পিত।
إِنَّ عَذَابَ رَبِّهِمْ غَيْرُ مَأْمُونٍ ( 28 ) নূহ - Aya 28
নিশ্চয় তাদের পালনকর্তার শাস্তি থেকে নিঃশঙ্কা থাকা যায় না।
وَالَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَافِظُونَ ( 29 ) নূহ - Aya 29
এবং যারা তাদের যৌন-অঙ্গকে সংযত রাখে
إِلَّا عَلَىٰ أَزْوَاجِهِمْ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ فَإِنَّهُمْ غَيْرُ مَلُومِينَ ( 30 ) নূহ - Aya 30
কিন্তু তাদের স্ত্রী অথবা মালিকানাভূক্ত দাসীদের বেলায় তিরস্কৃত হবে না।
فَمَنِ ابْتَغَىٰ وَرَاءَ ذَٰلِكَ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الْعَادُونَ ( 31 ) নূহ - Aya 31
অতএব, যারা এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করে, তারাই সীমালংঘনকারী।
وَالَّذِينَ هُمْ لِأَمَانَاتِهِمْ وَعَهْدِهِمْ رَاعُونَ ( 32 ) নূহ - Aya 32
এবং যারা তাদের আমানত ও অঙ্গীকার রক্ষা করে
وَالَّذِينَ هُم بِشَهَادَاتِهِمْ قَائِمُونَ ( 33 ) নূহ - Aya 33
এবং যারা তাদের সাক্ষ্যদানে সরল-নিষ্ঠাবান
وَالَّذِينَ هُمْ عَلَىٰ صَلَاتِهِمْ يُحَافِظُونَ ( 34 ) নূহ - Aya 34
এবং যারা তাদের নামাযে যত্নবান,
أُولَٰئِكَ فِي جَنَّاتٍ مُّكْرَمُونَ ( 35 ) নূহ - Aya 35
তারাই জান্নাতে সম্মানিত হবে।
فَمَالِ الَّذِينَ كَفَرُوا قِبَلَكَ مُهْطِعِينَ ( 36 ) নূহ - Aya 36
অতএব, কাফেরদের কি হল যে, তারা আপনার দিকে উর্ধ্বশ্বাসে ছুটে আসছে।
عَنِ الْيَمِينِ وَعَنِ الشِّمَالِ عِزِينَ ( 37 ) নূহ - Aya 37
ডান ও বামদিক থেকে দলে দলে।
أَيَطْمَعُ كُلُّ امْرِئٍ مِّنْهُمْ أَن يُدْخَلَ جَنَّةَ نَعِيمٍ ( 38 ) নূহ - Aya 38
তাদের প্রত্যেকেই কি আশা করে যে, তাকে নেয়ামতের জান্নাতে দাখিল করা হবে?
كَلَّا ۖ إِنَّا خَلَقْنَاهُم مِّمَّا يَعْلَمُونَ ( 39 ) নূহ - Aya 39
কখনই নয়, আমি তাদেরকে এমন বস্তু দ্বারা সৃষ্টি করেছি, যা তারা জানে।
فَلَا أُقْسِمُ بِرَبِّ الْمَشَارِقِ وَالْمَغَارِبِ إِنَّا لَقَادِرُونَ ( 40 ) নূহ - Aya 40
আমি শপথ করছি উদয়াচল ও অস্তাচলসমূহের পালনকর্তার, নিশ্চয়ই আমি সক্ষম!
عَلَىٰ أَن نُّبَدِّلَ خَيْرًا مِّنْهُمْ وَمَا نَحْنُ بِمَسْبُوقِينَ ( 41 ) নূহ - Aya 41
তাদের পরিবর্তে উৎকৃষ্টতর মানুষ সৃষ্টি করতে এবং এটা আমার সাধ্যের অতীত নয়।
فَذَرْهُمْ يَخُوضُوا وَيَلْعَبُوا حَتَّىٰ يُلَاقُوا يَوْمَهُمُ الَّذِي يُوعَدُونَ ( 42 ) নূহ - Aya 42
অতএব, আপনি তাদেরকে ছেড়ে দিন, তারা বাকবিতন্ডা ও ক্রীড়া-কৌতুক করুক সেই দিবসের সম্মুখীন হওয়া পর্যন্ত, যে দিবসের ওয়াদা তাদের সাথে করা হচ্ছে।
يَوْمَ يَخْرُجُونَ مِنَ الْأَجْدَاثِ سِرَاعًا كَأَنَّهُمْ إِلَىٰ نُصُبٍ يُوفِضُونَ ( 43 ) নূহ - Aya 43
সে দিন তারা কবর থেকে দ্রুতবেগে বের হবে, যেন তারা কোন এক লক্ষ্যস্থলের দিকে ছুটে যাচ্ছে।
خَاشِعَةً أَبْصَارُهُمْ تَرْهَقُهُمْ ذِلَّةٌ ۚ ذَٰلِكَ الْيَوْمُ الَّذِي كَانُوا يُوعَدُونَ ( 44 ) নূহ - Aya 44
তাদের দৃষ্টি থাকবে অবনমিত; তারা হবে হীনতাগ্রস্ত। এটাই সেইদিন, যার ওয়াদা তাদেরকে দেয়া হত।
Facebook Twitter Google+ Pinterest Reddit StumbleUpon Linkedin Tumblr Google Bookmarks Email

Select language

Select surah